স্বদেশ ডেস্ক:
জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) প্রণয়নের কাজ নির্বাচন কমিশনেই (ইসি) থাকা উচিত বলে অভিমত দিয়েছেন সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনাররা।
এ কথা জানিয়ে বর্তমান প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল জানিয়েছেন, ‘এনআইডিটা ইসিতে থাকা প্রয়োজন। এটি একবাক্যে সবাই বলেছেন। এটি নিয়ে ওনাদের (সাবেক কমিশনারদের) যে নলেজ রয়েছেন, সেটি আমার নেই।’
তিনি বলেন, সাবেক তিন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি), বিভিন্ন কমিশনার ও ইসি সচিব সবাই একমত হয়েছেন গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচন বন্ধ করা সঠিক হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা গাইবান্ধা-৫ আসনের উপ-নির্বাচন বন্ধ করার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে এটি আইনগতভাবে এবং সাংবিধানিকভাবে সঠিক হয়েছে বলে সবাই একমত হয়েছেন।
রাজধানীর আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে সম্মেলন কক্ষে গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচন বন্ধ করা প্রসঙ্গে বুধবার (১৯ অক্টোবর) আয়োজিত এক মতবিনিময় সভা শেষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল এসব কথা বলেন।
বৈঠকে সাবেক সিইসি আব্দুর রউফ, কে এম নূরুল হুদা, কাজী রকিব উদ্দীন আহমদ উপস্থিত ছিলেন। সাবেক নির্বাচন কমিশনার এম সাখাওয়াত হোসেন, মো: শাহনেওয়াজ, মো: রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম, সাবেক ইসি সচিব মোহাম্মাদ সাদিক, মোহাম্মাদ আবদুল্লাহ, সিরাজুল ইসলাম, হেলাল উদ্দীন আহমেদ এবং ইসির সাবেক অতিরিক্ত সচিব জেসমিন টুলী ও মোখলেছুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে বৈঠকে নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা, আনিছুর রহমান, মো: আলমগীর উপস্থিত ছিলেন। নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব দেশের বাইরে থাকায় তিনি বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন।
সিইসি বলেন, সভায় সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার, কমিশনার ও ইসি সচিবরা জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নিয়েও কথা বলেছেন। ইভিএম নিয়েও তারা পক্ষে-বিপক্ষে কথা বলেছেন। তবে পক্ষেই বেশি বলেছেন। তারা এ-ও বলেছেন, ইভিএম নিয়ে জনমনে নেতিবাচক ধারণা রয়েছে। এই নেতিবাচক ধারাণা দূর করতে হবে।
সিইসি আউয়াল বলেন, আইন অনুযায়ী আমরা নির্বাচন বন্ধ করলেও আমরা সাবেক নির্বাচন কমিশনারদের মতামত নিয়েছি মূলত, আমাদের সিদ্ধান্তগুলো সঠিক হয়েছে কিনা? কারণ এই নির্বাচন বন্ধ করাটার বিষয়টা খুবই ক্রিটিক্যাল ছিল। কারণ প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন বড় ধরনের একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এটি সর্বমহলে সেনসেশন ক্রিয়েট করেছিল।
তিনি বলেন, আমি গাইবান্ধা উপনির্বাচন বন্ধ করার পক্ষেও বক্তব্য দিতে শুনেছি, আবার বিপক্ষেও বক্তব্য দিতে শুনেছি। ফলে আমরা সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছি কি নেয়নি, এটি নিয়ে আলোচনা হলেও আমরা বলব, আমরা আমাদের অভিমতে সঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছি। তারপরেও এটি সঠিক নাও হতে পারে।
তিনি বলেন, কেউ আদালতে গিয়ে চ্যালেঞ্জ করতে পারেন, যে আপনারা সঠিক সিদ্ধান্ত নেননি। ফলে আমাদের সিদ্ধান্তটা পর্যালোচনা করার প্রয়োজন হতো। তবে আজকের বৈঠকে সকলে একমত পোষণ করেছেন যে গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচন বন্ধ করার সিদ্ধান্ত সঠিক হয়েছে।
সিইসি বলেন, ওনারা (সাবেক ইসি) আমাদের মুরব্বিজন, গুরুজন হিসেবে আমাদেরকে পরামর্শ দিয়েছেন। সততার সাথে, সাহসিকতার সাথে আমাদেরকে এগিয়ে যেতে বলেছেন। আমরা এইটুকুই বলতে চাই, ওনাদের কাছ থেকে আমরা যে গাইডেন্স পেয়েছি, যে বক্তব্যগুলো শুনেছি, সেগুলো আমাদেরকে আরো সমৃদ্ধ করেছে। উৎসাহিত করেছে।